গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের আদালত ৪০তম বিসিএস’এ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত লিখন সাকসেনাকে স্ত্রীকে মারধর ও যৌতুক দাবির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন । তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

রাজধানীর লালবাগ থানা এরিয়া থেকে ১৯ মে ভোররাতে সাকসেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সাকসেনাসহ এ মামলায় আসামি চারজন। বাকি তিনজন হলেন- সাকসেনার বাবা হুমায়ূন কবীর, মা শিউলী শ্রাবনী ও ভাই হৃদয় সাকসেনা। গত ১৪ মে ঢাকার লালবাগ থানায় সাকসেনার স্ত্রী বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ)/৩০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মোরশেদ আলী।

২০২১ সালের ৪ জুন জবি শিক্ষার্থী লিখন সাকসেনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মামলার বাদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সাকসেনা। যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে মারধর করতে থাকেন। একসময় স্ত্রীর পরিবার দুই লাখ টাকা যৌতুকও দেন। পরবর্তীতে লিখন ৪০তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হলে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করতে চান বলে অভিযোগ করা হয়। যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য নির্যাতনে সহযোগিতা করা হয়েছে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী সাকসেনার স্ত্রী বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য লিখন বিভিন্ন সময়ে আমাকে চড়, থাপ্পড়সহ নানাভাবে মারধর করে আসছিল। আমাকে রেখে অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমি সবকিছু সহ্য করে দুই লাখ টাকা দেই। তবে এখন সে বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশ হওয়ার পর আমাকে আর চায় না। সে আমাকে তালাক দিয়ে অন্য কোন বড়লোক মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। আমি মীমাংসাতে গিয়েও পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।